Bangla Lyrics
অর্থহীন আলাপে চলছে অন্তহীন তর্ক
সকাল হতে আরও দেরি
আমি বসে আছি
আমি বসে আছি
আমি বসে আছি।
সূর্যটা কখন জানালা বেয়ে উঠবে
হবে ঘর আলোকিত
আরও আলোকিত
আলোকিত।
জীবনের জলসাঘরে
আমি তুমি কতোটা নিঃসঙ্গ
অর্থহীন আলাপে চলছে
অন্তহীন এক তর্ক। ।
১লা সেপ্টেম্বর, ২০২১(ভোর ৫:১৮)১লা সেপ্টেম্বর, ২০২১(ভোর ৫:১৮)
উপরেল্লিখিত গানটি শুনতে ভিজিট করুণ YouTube Channel : kaiser islam
অনেক রাত্রি
অনেক রাত্রি
একা একা হাঁটছি
একা একা চলছি
কেউ নেই
কেউ নেই।
পূর্ণিমা রাত্রি
একা একা হাঁটছি
একা একা চলছি
সবাই ঘুমিয়ে।
তোমায় আমি ভুলবো না
তোমার স্মৃতি মুছে ফেলবো না
যদিও বহু দূরে।।
১৯৮৬
প্রয়াত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু গানটি তাঁর ‘ময়না’ (১৯৯০) এ্যালবামে গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
উপরেল্লিখিত গানটি শুনতে ভিজিট করুণ YouTube Channel : kaiser islam
অনেকগুলো গান
অনেকগুলো গান
লেখা হয়েছে, হচ্ছে
মানুষের মুখে
সুখের গান
দুঃখের গান
ভালোবাসার গান।
ক্ষুদার রাজ্যে আমরা
পঙ্গু পায়ে আমরা গেয়েছি
সুখের গান
দুঃখের গান
ভালোবাসার গান।
এখন আমরা চাই
মানুষের মুক্তির গান।।
অপ্রথাগত
নয় প্রচলিত
হয় আলোচিত
নয় সামাজিক
হয় অসামাজিক
দিন কাটে মোহে
রাত কাটে ঘোরে
রান্না ঘরে শুধু তেলাপোকা ঘোরে
মাথায় কেন শুধু স্বপ্ন নড়ে চড়ে?
অপ্রথাগত
মানুষ আছে যত
শোন সবে শোন
কান পেতে শোন
দিন কাটুক দিন
আসবে সুদিন।
দিন কাটে যতো
কথা বাড়ে ততো
লোকে ফিসফাস করে
টুটি চেপে ধরে
সাহস আছে যার
সাধ্য আছে তার
স্বাধীন মানুষ যিনি
সুখী মানুষ তিনি।
অসময়ের গান
যে যা বলুক ভাবিনি
সোজা পথে চলিনি
ঘাসের ওপর হেঁটে হেঁটে
আকাশ দেখতে চেয়েছি
আমি গেয়েছি অসময়ের গান।।
সময় যখন বিষন্ন
দেশে তখন নেই অন্ন
কিম্ভুতকিমাকার জীবনের
অর্থ খুঁজতে চেয়েছি
তবু গেয়েছি অসময়ের গান।।
সস্তা গানের বাজারে
নিন্দুক আছে সমানে
হিন্দি ফিন্দি ভুলে টুলে
আত্মসুখ চেয়েছি
তবু গেয়েছি অসময়ের গান
তবু চেয়েছি অসময়ের গান।।
অন্ধ মানুষ
অন্ধ মানুষ ভুতের ভয়ে তোষামদে থাকে
জ্ঞানী মানুষ ভুতের জন্য ফাঁদ তৈরী করে।
শোষক শ্রেণীর যন্ত্রতে আসল ভুতের সৃষ্টি
শোষিত শ্রেণীর মন্ত্রে ভুত নাকি মিষ্টি।
এমনি করে অনেকদিন করছে তারা শ্বাসন
আমরা যে হাবাগোবা দিয়েছি আসন।
২০০০ সন দ্বিতীয় নিঃশাস
আর দিব না সময়
আগুন দিয়ে বন্ধ করবো
মহা ভুতের প্রলয়।।
আজ যেন পৃথিবীটাকে নতুন করে চেনা হল
আজ যেন পৃথিবীটাকে নতুন করে চেনা হল।
পৃথিবীটাতে এতো সুখ
এতো আলো
জেগে আছে আজও।।
শুধু মেঘে মেঘে বেলা গেল
কেটে গেল বছর কয়েক।
ও দুঃখহীনতায় এতো যে সুখ
পেয়েছি আমি শত বেদনায়।
আজ যেন পৃথিবীটাকে নতুন করে চেনা হল।
পৃথিবীটাতে এতো সুখ
এতো আলো
জেগে আছে আজও।।
আজন্ম স্টুডেন্ট
বয়স গেল
বুদ্ধি খুল্লো
সময় গেল ভেসে
তবুও আমি
বেঁচে আছি
কাকতাড়–য়া বেশে।
স্কুলের পড়া
সার্টিফিকেট
ফেলে এসেছি কবে
তবুও আমি
শিখি ইংরেজি
রাত্রি জেগে জেগে।
আমি হই একজনা
আজন্মের স্টুডেন্ট
সক্রেটিস থেকে লিও নার্দো ভিঞ্চি
আমার গার্জিয়েন।
আমি হই একজনা
সত্য মিউজিশিয়ান
মোজার্ট থেকে বব ডিলান
আমার গার্জিয়েন।
চলো তবে ইন্টারনেটে
ঘুরবো পৃথিবী
তার পরেতে চেখে নেব
নাসার কর্মসূচী।
চলো তবে শেষ কথায়
ঘুরে ফিরে আসি
মনে রেখো এই জগৎসংসার
মনেরই সৃষ্টি।
আমি হই একজনা
আজন্মের স্টুডেন্ট
সক্রেটিস থেকে লিও নার্দো ভিঞ্চি
আমার গার্জিয়েন।
আমি হই একজনা
সত্য মিউজিশিয়ান
মোজার্ট থেকে বব ডিলান
আমার গার্জিয়েন।।
আমজনতা
আমজনতা শোন মোর কথা যেথা তোমরা যাও
যে জলের ধারায় বৃদ্ধি তোমার তাকে বুকে তুলে নাও
চটজলদি কর নইলে কংকাল খানা কেড়ে নেবে ঢেউ
সময়কে যদি বেশি মূল্য দাও, পাথরের মতো ডুবে মরার আগে সাঁতরিয়ে বেড়াও
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়।
শোন লেখক, সমালোচক যারা কলমের জোড়ে ভবিষ্যৎ বলে যাও
চোখ, কান খোলা রাখো যাতে সময়ের আগে মুখ খুলতে না হয়
তড়িঘড়ি কর না, যে চাকা এখনও ঘুরছে
নাম বলবার প্রয়োজন মনে কর না
তাই যারা আজ হারিয়েছে আগামীতে তারা জিতবেই
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়।
শোন সাংসদ, মন্ত্রীবর্গ মনোযোগ দিয়ে শোন
জন¯্রােতে বাধা না হয়ে, দরজায় কাঁটা দিও না।
যে আজ দুঃথ পেল, আগামীতে সে থামবে জেনো
ক্ষোভের ভিতর জ্বল জ্বল করছে আগুন
শীঘ্রই তোমার জানালা কাঁপবে, দরজা ভাঙবে একে একে
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়।
শোন লক্ষ লক্ষ মাতাপিতা, যারা দেশ জুড়ে আছো
সমালোচনায় বিদ্ধ কর না, যা কিছু তোমরা বোঝ না
তোমার পুত্র-কন্যা এখন আদেশের উর্ধ্বে
তোমার পুরনো পথে ধুলো জমে যাচ্ছে।
তাই হাত বাড়াতে না পারলেও, নতুনকে জড়াও
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়
তারা সময়ের সাথে বদলে যেতে চায়।
গানটিকে বলা যেতে পারে Bob Dylan এর গান The time they are a-changing এর আক্ষরিক অনুবাদ তবে মূল গানের ছন্দ ও তাল যাতে অক্ষত থাকে সে দিকে গুরুত্বারোপ করেই শব্দ নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালিয়েছি।
আর একটু দাড়াও
আর একটু দাঁড়াও
সূর্য্যের সান্নিধ্যে আসছে কালো পাহাড়;
দ্যাখ মুহূর্তে বদলে গেল তার রঙ
কি ভীষণ সবুজ!
কেউ যেন জেগে ওঠে
হীম দেবতা বেশে।
ধরে নাও, পাহাড়টি তোমার হৃদয়
আর সূর্যটি তোমার ভালোবাসা
মেলে দিলেম নিজেকে
নিঃশব্দে আত্মসমর্পনে।
আঁই তঁরে সারা বাসিত নফারির
আঁই তঁরে সারা বাসিত নফারির
হাঁনদি হাঁনদি মরি আরাদিন
হাঁনদি হাঁনদি মরি আরাদিন।
লা লা লা লালা লা ……………।
এবাবে দিন যাইবু
এবাবে রাইত যাইবু
এবাবে বসর যাইবু
আরও যাইবু।।
আঁই হবরত গেইলি
আঁল্লে ন হাইন্দু
আঁই হবরত গেইলি
আঁল্লে ন হাইন্দু
হাঁন্দি আর কী অইবু
যদি মরি যাই ?
হাঁন্দি আর কী অইবু
যদি মরি যাই?
তারতুন আকাশরে হইয়ু
তারতুন বাতাসরে হইয়ু
দুক্কর হতা
রই যাইবু।।
লা লা লা লালা লা ……………।
Gypsy Kings সুপরিচিত গান Caminando Por la Calle থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গানটির সুরারোপ করা হয়েছে।
আঁই একজন সিটাইংগে
আঁই একজন সিটাইংগে
স্বপ্ন দেহি, দেহি জীবন হাডাইদি।
স্বপ্ন যদি আঁসা অইতু
আঁরে কী, কেউ আর ফঅল হইতু।
আঁর বাফে ফারর উদ্দি গর বানাইয়িল
নিজের দোষে গরগান্তো
দিফাইলাইলেমদে ডেবালপাররে।
আঁই এহন রাস্তায়, রাস্তায় গুরি
বাফর হতা আইজ আঁসা অইয়ি।
আসলে মানুষরূপী বিবেক বিহীন হাঙর,
যাদের অভিধানে ক্ষমা, দয়া, মৈত্রী
ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ চিরকালের জন্যেই নিষিদ্ধ।
ইটপাটকেলের এই শহরে (বৃষ্টির জল)
ইটপাটকেলের এই শহরে
সবুজ বিহীন এই শহরে।
একটা কালো ধোঁয়া
উড়তে গিয়ে আকাশেতে
মেঘের সাথে বনিবনা।
হতে গিয়ে এক বিকেলের ঘুড়ি
হতে গিয়ে এক শুকনো পাতা
হয়ে গেল সে এক ফোঁটা
বৃষ্টির জল, বিষাদের জল।
এ কোন পৃথিবী
এ কোন পৃথিবী
মানুষেরা আজও ভ্রাতৃত্বহীন
ধর্ম যুদ্ধের ইতিহাসে ক্লান্ত
জীবাণুর কাছে পরাজিত
এ কোন পৃথিবী।।
মানুষ কী পারে না এক হতে
যাবতীয় ইতিহাস ভুলে গিয়ে
মানুষে-মানুষে, প্রাণিতে মানুষে
মৈত্রী কী গড়বে না আবার
এ কোন পৃথিবী।।
একটা গান আমি গাই
একটা গান আমি গাই।
কেউ শুনিল কি,
শুনিল না।
আসে যাই না আমার,
আমি শুধুই গাই
একটা গান আমি গাই।।
শুধু নিজেকে, নিজেরেই
দোষী করি যাই।
একটা গান আমি গাই।।
*একটা গান গাই আমি
আকাশ ছুঁইয়ে, ছুঁইয়ে
সর্বকালের দুঃখ নিয়ে
গান গাইয়া যাই।
আমার মুক্তি কেন নাই
একটা গান আমি গাই।।
ওরে আমার মন
ওরে আমার মন
ওরে আমার মন
তোকে আমি কেমনে
সুখ দেব রে?
পাহাড়ের নির্জনতায়
বনরাজীর ছায়ায়
সেখানে আমি আমাকে
খুঁজে পেতে চাই।
সেই মনকে আমি খুঁজে পেতে চাই
তাই পৃথিবীতে খুঁজে খুঁজে যাই।।
ও মন দুঃখ করো না
ও মন
দুঃখ করো না।।
দেখ আকাশের দিকে তাকিয়ে
মেঘের প্রাসাদে তুমি দাঁড়িয়ে
নীরবতায় যতো সুখ
আর পাথরের গায়ে লেখা
যতো অভিমান
সবিই তোমার।।
কতো কাল
কতো কাল?
কতো কাল?
রইবো বেঁচে
এভাবে, এভাবে।
রাজপথের মাঝপথে
আর কতো হেঁটে চলা?
ও কতো কাল?
কতো কাল?
রইবো বেঁচে
এভাবে, এভাবে।
রাতে থাকি জেগে
দিন কাটে মোহে
এভাবে, এভাবে।
ও কতো কাল?
কতো কাল?
রইবো বেঁচে
এভাবে, এভাবে।
কতো সুন্দর জগত
আমি বৃক্ষ দেখি
দেখি লাল ফুল
দেখি তাদের ফুটতে
আমাদের জন্যে।
আমি ভাবি শুধু ভাবি
কতো সুন্দর জগত?
রঙধনুর রঙগুলো
কী চমৎকার দেখায়,
চলমান জীবনের
মানুষের মেলায়।
দেখি, বন্ধু বলছে
তুমি কেমন ছিলে?
তারা যেন বলছে
তোমায় ভালোবাসি।
শিশুদের কান্না দেখে
দেখি তাদের বৃদ্ধি,
তারা যা জানবে
কোনদিন জানবো না।
আমি ভাবি শুধু ভাবি
কতো সুন্দর জগত?
(এটি আমেরিকার বিখ্যাত জ্যাজ ঘরনার গান What a Wonderful World এর আক্ষরিক অনুবাদ।)
কান পেতে শোন
কান পেতে শোন বাঙ্গালীরা
আর নয়, আর নয় দেরি।
পনের কোটি মানুষের মাঝে
হয়তো বা সোয়া কোটি।
কিংবা ধরো, একজনই নয়
নিজে বলি, নিজেই শুনি।
মধ্যপন্থি, ক্ষমতাপন্থি,
বিদ্রোহি কোন ধারা;
নয়তো কোন নতুন নামের
ছদ্মবেশি পথহারা।
মারামারি করো না
হাতাহাতি করো না
সুড়সুড়ি নিয়ো না পাছে
সুকুমার রায়ের ছড়ার কথা কী
মনে কি, মানে আছে?
আমরা ভালো লক্ষি সবাই
তোমরা ভীষন বিশ্রী
তোমরা খাবে নিমের পাঁচন
আমরা খাবো মিশ্রি।
কেউ কি জানো
সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে
আমসত্ব ভাজা।
রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর
কেন বালিশ বাঁধা?
আমরা সবাই গাধা
সিÐিকেটে বাঁধা।।
বাঁচাও বাংলাদেশ
সিÐিকেট থেকে।
বাঁচাও বাংলাদেশ
সিÐিকেট থেকে।
কিছু প্রশ্ন
কিছু প্রশ্ন করতে শেখ
উত্তরও চেওনা
পড়তে পড়তে
জানতে জানতে
আসুক চেতনা
এই সাধনা, এই সাধনা।
দেখ আকাশের তারাগুলো
মহাজাগতিক জীবাশ্ম
বেঁচে থাকা অবিশ্বাস্য
কেতাদুরস্ত জমকালো
হস্তরেখায় বিশ্বাস রেখনা
উম উম তুমি জানোনা।
জানার মাঝে অজানা
তবু জীবন নয় করুণা
অর্থহীন হতে পারে
সজীব নির্জীব জীবন
উম উম কেউ নয় আপন।
আসলে আসলটা বলাটা হল না
নৈব্যার্তিক উক্তিতে
প্যাঁচানো যুক্তিতে
অন্তরের ব্যাখ্যাটা হল না
হল না, কিছু হল না।
কিছু হলনা
কিছু হল না
শুধু ফিরে দেখা।
সময়ের সাথে
বদলে গেছে পৃথিবী।
আর আমি রইয়ে গেলাম
কতো পুরনো, কতো পুরনো।
অচেনা পথে হেঁটে হেঁটে
হারিয়েছি কতো সুর, কতো মন
নবান্নের শেষে বুঝেছি
আসলে জীবনটা শুধু স্বপ্ন।
এই গানের বেশ কয়েকটি কোরাস লাইন সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ছড়া “বোম্বাগড়ের রাজা” থেকে সরাসরি নেয়া।
ক. আমরা ভালো লক্ষি সবাই তোমরা ভীষন বিশ্রী। তোমরা খাবে নিমের পাঁচন আমরা খাবো মিশ্রি।
খ. কেউ কি জানো সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা, ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ব ভাজা। রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
খাঁচায় বন্দি করেছি তাকে
খাঁচায় বন্দি করেছি তাকে
অবশেষে, অবশেষে
বন্দি করেছি তাকে।
অথচ সূর্যটা যেমনই ছিলো
তেমনই আছে খাঁচার ভিতরে।
সে উড়াল দিতে চায়
আমি তার ডানা ভেঙে ফেলি।।
সে রাজা হতে চায়
আমি তার রাজ্য ভেঙে ফেলি।।
খাঁচায় বন্দি করেছি তাকে
অবশেষে, অবশেষে
বন্দি করেছি তাকে।
গান ভোলার গান
গান ভোলার গান কই?
হাতে লেখার ছড়া কই?
রবীন্দ্রের ধ্যান কই?
নজরুলের সুর কই?
ঢাকা থেকে কোলকাতায়
বাঙালীর বোধ কই?
আমরণ গ্রাম বাংলায়
এখন আর সুখ কই?
আমাদের মানুষের বিশ্বাসের স্বর কই?
রাজনীতির রাজপথে একটা মহান মানুষ কই?
গুয়ানতানামেরা (চাটগাইয়া গান)
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা।
তোঁয়ারে সারা আঁই নবাইচ্চুম
আরাজীবন তোঁয়ারলে তাইক্কুম
জীবনত যতো দুঃক্ক আইয়ুক
আঁই তোঁয়ারে বালোবাসি যাইয়ুম।
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা।
ফুরন হতা নহইয়ু
হালি হালি দুঃক্ক বারিবু
আঁই তোঁয়ারে হইলজত্তুন
বালোবাসি যাইয়ুম।
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা
গুয়ানতানামেরা গোয়াহেরা গুয়ানতানামেরা।
গানটির মূল সুরটি নেয়া হয়েছে Jose Marti-র বিখ্যাত গান Guantanamera থেকে
ঘুমপাড়ানীর গান
ঘুমপাড়ানীর গান ভালো লাগে আগের মতো
শ্রাবণের ফালি ফালি মেঘ মনে মনে ছবি এঁকে যায়।
দুরন্ত কৈশর স্মৃতি হাত বাড়ালেই ক্লাস-টু
পুরনো পাড়ার গলি কেঁদে কেঁদে কিছু বলে যায়।
ফেরাতো যায় না আর কিছুতে
স্বপ্নের ভেলা আজ নাই আকাশে
চাইলেও শৈশব ফিরে আসে না
ফিরে আসে না।
ঘুমপাড়ানীর গান ভালো লাগে আগের মতো
শ্রাবণের ফালি ফালি মেঘ মনে মনে ছবি এঁকে যায়।
চল্লিশ ছোঁয়ার আগে
চল্লিশ ছোঁয়ার আগে ভাবছে আবোল তাবোল
চল্লিশ হবে বলেই মনটা ভীষন ভালো
মনে মনে বললাম
বড় দেরিতেই মানুষ হলাম।
মনে মনে বললাম
বড় দেরিতেই মগজটা খুল্লাম।
মানুষ মানে সীমাহীন মানষিক বিকাশ
মানুষ মানে প্রতিক্ষণ ছোঁয়া আকাশ।
মানুষ মানে খাঁচা আর পাখির বাঁধন
মানুষ মানে জন্ম মৃত্যূর বাঁধন।।
গানটির মূল সুরটি নেয়া হয়েছে Jose Marti-র বিখ্যাত গান Guantanamera থেকে
চলতি পথে
চলতি পথে থমকে দেখি
সেই তুমি আর নও যে আমার।
পথের স্মৃতি প্রশ্ন করে
কোন সে কারণ অকারণ।
ভাবনা আমার একলা পথে
খুঁজি সারাক্ষণ।
তুমি ছিলে আত্মার ছায়া
কি এক স্বপ্নে হারিয়েছি।
আকাশী স্মৃতি প্রশ্ন করে
কোন সে কারণ অকারণ।
ভাবনা আমার একলা পথে
খুঁজি সারাক্ষণ।
গানটির ১ম ভার্সটি লিখেছে বিশিষ্ট গিটারবাদক ও গায়ক Moin Zaki আর ২য় ভার্সটি আমার লেখা
জলরঙ
আমি হতে চাই
একটা কাঁচের গ্লাস
চক্চকে রৌদ্রজ্বল।
একটা সবুজ বনসাই
অনাগত প্রাণ যার স্বপ্ন।
পিঁপড়েগুলো শুধুই ঘুরছে
বলছে কথা তার ভিতর।
বনসাই গাছে কাপুরে ফুল
টুকটুকে অনাগত গন্ধ।
গাছটি বেড়ে উঠছে
কমছে অনুপাতে গøাস।
সূর্যটা ঢুকছে জানালা দিয়ে
সূর্যটা ঢুকছে জানালা দিয়ে
বেগুণী রশ্মী দিয়ে অন্যরকম গ্লাস
এখন একটি জড় জলরঙ।
জন্ম হল আমার
জন্ম হল আমার
তোমার হৃদয় ছুঁয়ে
জন্ম হল আবার
লাল ফুলের ঘ্রাণে।।
ভেঙ্গে গেল সব
দুঃখের পুরনো শহর
মুছে গেল সব পলেস্তারার স্মৃতি।।
জন্ম হল আমার
তোমার হৃদয় ছুঁয়ে
জন্ম হল আবার
লাল ফুলের ঘ্রাণে।।
প্রাণ দিলেম তোমায়
আকাশী চিলের মতো
ভালোবাসা মাখা
নীল স্বপ্ন নিয়ে।।
তুমি নাই (সারা শহর জুড়ে)
তুমি কোথায়?
শত রিক্সার নীরব মিছিলে
হঠাৎ কোন বইয়ের দোকানে
কারপেন্টার্সের ক্যাসেট হাতে।
শরতের মেঘের ভাষায়
পাহাড়ের নরম ক্ষতে
নববর্ষের প্রথম দিনে
তুমি নাই, তুমি নাই
সারা শহর জুড়ে তুমি নাই।।
শাড়ী কিনেছি আমি
নববর্ষের ফ্লানেল আকাশ
শতবর্ষের সব রঙ
র্যামব্রান্ট, শাগাল আর গঁগার।
আঁকিবুঁকি দিয়ে তৈরি
ভালোবাসার চিঠি,
গিটার কিনেছি
ফ্ল্্যামেংকো-জ্যাজ-বøুজ;
তুমি নাই, তুমি নাই
সারা শহর জুড়ে তুমি নাই।।
তুমি যখন থাকো দূরে
তুমি যখন থাকো দূরে
তখন আমি থাকি কাছে
তুমি যখন থাকো কাছে
তখন আমি থাকি দূরে
এইভাবে অনেকদিন
কেটে যায় সুরে।
তুমি থাকো সাহারায়
আমি থাকি নীলে
তাই তোমার চোখে
আমি খুঁজে পেয়েছি
জোনাকী রাতের আলো।
তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ
তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ
নাম তার বাংলাদেশ।
নদীর দেশ বাংলাদেশ
শোষণের ভূমি বাংলাদেশ।
বাংলা তুমি কেন
ভাবছো বসে ভাবছো?
এখন তো আর
ভাববার সময় নাই।
ওরা আমাদের সবকিছু নিয়ে
ফেরত দিয়েছে।
আবার ওরা আমাদের
বন্ধু বলে ডাকে।
আমরা চাই না
চাই না, চাই না
ওসব কিছু বাংলা চায় না।
এটি আমার প্রথম গান
দাও আমায় নতুন দেশ
দাও আমায় নতুন দেশ
দাও আমায় বাংলাদেশ
নতুন দিনের, নতুন প্রাণের
নতুন মানুষের দেশ।
আলোকিত মানুষের ভিড়ে
আমার সুখ-শান্তির নিড়ে।
জানতে চাই আমি ভিড়তে চাই
অসীম জ্ঞানের তীরে।
ফিরিয়ে দাও সে নরম রোদের
সবুজ শ্যামল সুর।
ফিরিয়ে নাও এই ছেলে খেলার
কু-রাজনীতির দুখ।
আমার বাউল মনের অন্তরালে
আবার আসবে সুর।
দিলেম খুলে মনের দুয়ার
দিলেম খুলে মনের দুয়ার
ঠাই করে নিস যখন খুশি।
দুষ্ট মাখা মুখখানি তোর
আগলে ধরে যতন পুষি।।
অবাধ্যতায় ছাড়িয়ে যে তুই
হস যে আমার নয়ন মণি।।
তোর হাসিতে উথলে উঠে
আবেগ আমার শিশুর মতন।।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিভবো যেদিন
থামবে আমার সুরের বাঁধন।।
সুখে দুঃখে খুঁজবি মোরে
এমন আমার বুঝবি তখন।
এই গানটির সুর আমার হলেও ১ম ও ২য় অংশ(ভার্স ও ব্রীজ) লিখেছে চীন প্রবাসী রাজ ঘোষ। আর আমি লিখেছি কেবল শেষের অংশটি(আউটরো)।
ধিক ধিক ধিক
ধিক ধিক ধিক
যুদ্ধ চারিদিক
যুদ্ধ এলে পুরোবিশ্ব
গাইছে বাঁচার গীত।
আমরা যুদ্ধ চাই না
আমরা শান্তি চাই
আমরা যুদ্ধ চাই না
আমরা বাঁচতে চাই।।
যুদ্ধ, যুদ্ধ, যুদ্ধ
ক্ষুদা করো মুক্ত
মানুষকে করো মুক্ত
আগুন করো সুপ্ত।
যুদ্ধের শেষে শান্তি
আনবে মানুষের মুক্তি।।
আমরা যুদ্ধ চাই না
আমরা শান্তি চাই
আমরা যুদ্ধ চাই না
আমরা বাঁচতে চাই।।
নভেম্বরের শেষে
নভেবরের শেষে ক্যালেন্ডারের পাতা যখন ফুরিয়ে আসে।
পৃথিবীতে এক ভিন্সেনট এসে ছবি আঁকে মনে মনে।।
রঙ-তুলির কান্নায়, ছিটে ফোটা সুখের জলে,
রোদ্দুরের শহরটা পালটায় অন্য ক্যানভাসে।
আমি ভাবি, বেশ তো আছি এই কৃত্রিম নগরে।।
এই গানটির সুর আমার হলেও ১ম ও ২য় অংশ(ভার্স ও ব্রীজ) লিখেছে চীন প্রবাসী রাজ ঘোষ। আর আমি লিখেছি কেবল শেষের অংশটি(আউটরো)।
নিভৃত সন্ন্যাসী
যা বলে লোকে
যা বলে সমাজ
যা করে মানুষ
থাকে অপ্রমাদ।
থাকবো আমি
নিজ গৃহে আলো জ্বেলে
ছুটে যাবো প্রতিসন্ধির চিত্তে।
বন্ধু যে তুমি আজও চিন নি, চিন নি
আমি যে এক নিভৃত সন্ন্যাসী।।
গেরুয়া রঙের প্রয়োজন মনে করি না
মৈত্রী, ভালোবাসায় সিক্ত হোক জগত;
এ আমার বিশ্বাস, আসবো আমি আরও
জগতটাকে রাঙ্গিয়ে দিতে।
বন্ধু যে তুমি আজও চিন নি, চিন নি
আমি যে এক নিভৃত সন্ন্যাসী।।
নদীর মতো হৃদয়
নদীর মতো হৃদয় আমার সাগরে মিশি
আমি আমারেই খুঁজি
নাকি তোমারেই খুঁজি।
দিন যে গেল ছবি এঁকে
রাত্রি গেল ভেবে।
বছর গেল বাউল সেজে
পথে পথে ঘুরে।
নদীর মতো হৃদয় আমার সাগরে মিশি
আমি আমারেই খুঁজি
নাকি তোমারেই খুঁজি।
সব শেষে স্বপন দেখি
সব নিয়ে আমি বেঁচে আছি।
নদীর মতো হৃদয় আমার সাগরে মিশি
আমি আমারেই খুঁজি
নাকি তোমারেই খুঁজি।
পিয়ানো
পিয়ানো আছে পিয়ানো
একটা গ্র্যান্ড পিয়ানো।
সেই পুরাতন গির্জার
কালো রঙের থমসন পিয়ানো।
আটাশী ঘাটের ত্রিকোণাকৃতির
ঢালওয়ালা বিশাল পিয়ানো।
বাজাও শোপাঁ, বাজাও বেতোফেন
কিংবা মোজার্ট-লিস্ট।
নইলে বাজাও অ্যালিংটন
বেইজি, কিথ জ্যারেট।
পার কি ইমন?
পার কি মালকোষ?
কিংবা রাগেশ্রী?
আ-আ-আ-
ইন্দোফিউশনের এই যুগে
আমরা মিউজিশিয়ান।
পৃথিবীর কবিতা
আমি সভ্যতারই
আমি প্রশান্তেরই
আমি পদ্মা মেঘনার
আবেগি মানুষ।
আমি চন্ডীদাসের
আমি চর্যাপদের
আমি লালন শাহের
বাঙালী।
আমি জীবনানন্দের
আমি নজরুল, রবীন্দ্রের;
আমি জিব্রান, শামসুরের
কবিতা।
আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে
পৃথিবীর কবিতা।।
আমি থমাস ডিল্যান
না, না, আমি বব ডিল্যান
আমি হেমন্ত, মান্না, ভূপেনের।
আমি লেননের একটি বিশ্বের
পৃথিবীর কবিতা।।
পান্ডুলিপির শেষের পাতায়
পান্ডুলিপির শেষের পাতায়
আপাতত কোন সমাপ্তী নেই,
কোন সমাধান নেই।
আত্ম উপলব্ধির জটিল প্যাঁচে
জড়িয়ে গেছে কাব্যসৃষ্টির মর্ম।
হও যদি তুমি বুদ্ধিমান
ঢুকতে পারো এই “পান্ডু” পিড়ামিডে।
শব্দের সাথে আলাপচারিতায় বুঝবে
কাব্যÑঅকাব্যিকতায় কতো দুঃখ ছিলো
ঝড়ো বৃষ্টির নিঃশেসে শান্ত চাঁদের মতন
ঐ সৃষ্টিতে কতো শান্তি ঝরে
ইশ্বরকে জিজ্ঞেস করো।
নয়তো তার ছোট বিবেককে
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে জানতে পারো
কে কতো বিশুদ্ধ কবিতা লিখলো।
হও যদি তুমি বুদ্ধিমান
ঢুকতে পারো এই কাব্য-পিড়ামিডে।
বন্ধুত্বের আজ বড়ই আকাল
বন্ধুত্বের আজ বড়ই আকাল
খুজে পাইনা কাউকে কথা বলার।
হচ্ছেটা কী আমার ভিতরে?
দিনকে দিন ছুটছি পিছু কেবল সৌন্দর্য-কলার।
কবিতার কথা বললে সবাই আজগুবি ভাবে,
মুক্তচিন্তা আনলে তবে খবর আছে!
বইয়ের কথা তুলতেই বাজে ধর্মের বানী,
বলরে নজরুল, বলরে কবীর, আমি কী নিয়ে বাঁচি?
বদলে যায়
প্রতিদিন আমি বদলে যাই
প্রতিনিয়ত শ্বাসে শ্বাসে
আমি বদলে যাই
হায় হায় আমি বদলে যাই।
আজকে যা ভালোমন্দ
রাত পেরোলেই খুব শুদ্ধ
আগামীদিন বদলে বদলে যায়।
হায় হায় সবিই বদলে যায়।
গতদিন ছিলো উত্তরে
আজকে বাতাস দক্ষিণে
পরশু আরও সুবাতাস যায় যায়।
হায় হায় সবিই বদলে যায়।
প্রতিদিন যদি একটু একটু
করে করে বৃদ্ধি পায়
চারাগাছ বৃক্ষে বদলায়
হায় হায় সবিই বদলে যায়
হায় হায় সবিই বয়ে যায়।।
বব মার্লি
জামাইকার এক কালো মানুষ তুমি
মুখ ছিলো সাধারণ চুল যেন দড়ি
বব্ মার্লি।
তোমার সে গান আমি কেড়ে নিয়েছি
প্রেম, যুদ্ধ, মুক্তি
বব্ মার্লি।
দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষগুলো
ভুলেনি তোমায় আজও
বব্ মার্লি।
ওরা তোমাকে ভুলে নাই
ভুলেনি তোমায় আজও
বব মার্লি।
জীবনকে করেছো পিকাসোর ছবি
স্পেন যেন মূর্তি
বব্ মার্লি।
কালো মানুষকে দিয়েছো তুমি
প্রেম, যুদ্ধ, মুক্তি
বব্ মার্লি।
বছর কাটছে সুপারসনিক গতিতে
বছর কাটছে সুপারসনিক গতিতে
সকাল হবে রাত কাটে
এ যেন জীবন নামের প্রহশন।
রোদ যখন আসে বড় অবেলায়
তখন ছুটে যেতে ইচ্ছে করে
তরতাজা অসমাপ্ত স্মৃতিতে।
যেখানে তুমিও ছিলে
মিষ্টি রোদ্দুরের ফোঁটায় ফোঁটায়।
বাউল যদি হইতাম আমি
বাউল যদি হইতাম আমি
ঘুরতাম দুনিয়া
কইরা দিতাম লÐভÐ
টাকা খ্যাতির মÐ।
টাকা খ্যাতির লোভ ছাড়া
কিছু দেহিনা
আমি সভ্যতারই অন্ধ।
হইতাম যদি আবার মানুষ
শ্বাসন মানতাম না
পাখির মতো ঘুরতাম ফিরতাম
সীমা চিনতাম না।
বিশ্বাস আমার হইতো শুধু
আপন ঠিকানায়
সাহস নিয়া মইরতাম আমি
নিজের সীমানায়।
বেঁচে আছি শহরে
বেঁচে আছি শহরে
এই ঢাকা নগরে
অলিগলি মিশে কোন ফ্ল্যাটে
জানালার আড়ালে
দুষিত বাতাসে
আসলে মেকি কোন ঠাটে
বেঁচে আছি শহরে।
বেঁচে আছি শহরে
ধুলো মাখা নগরে
নারী, বাড়ী, গাড়ী কিছু আছে
বিবেকের আড়ালে
নীল নীল আকাশে
জীবনের সমাধান কি আছে
বেঁচে আছি শহরে।।
বেঁচে আছি শহরে
এই ঢাকা নগরে
অনাবিল শান্তির খোঁজে
এলেবেলে ফুটপাতে
টাকাকড়ির আশাতে
খালি, খালি সিগারেট টানতে
বেঁচে আছি শহরে।
বেঁচে আছি শহরে
এই ঢাকা নগরে
প্রিয় কিছু মুখ খুঁজে আনতে
এলেগেলে ফুটপাতে
নিয়ন লাইটের আলোতে
ধোঁয়াশার পথে হাঁটতে।
বেঁচে আছি শহরে।
বেঁচে আছি শহরে
ধুলো মাখা কাপড়ে
নারী, বাড়ী, গাড়ী কিছু আছে
বিবেকের আড়ালে
নীল নীল আকাশে
জীবনের সমাধান কি আছে
বেঁচে আছি শহরে।।
বিশ বছরের চিঠি
বিশ বছরের চিঠি বন্ধু
পেলাম আজই রাতে।
মোবাইল ফোনের যুগে বন্ধু
জোছনা ঝরা রাতে।
মিষ্টি মিষ্টি বাতাস লাগে
পাশে নেই কেউ কাছে
যতো বারে রাত্রি শুধু
সাধ জাগে তোমায় পেতে।
বন্ধু, সাধ জাগে তোমায় পেতে।
বুঝিনি আগে
বুঝিনি আগে
আমি কেবল
স্বপ্ন দেখে গেলাম
নতুন জীবনের
নতুন জগতের।।
অথচ জীবনটা
ছিল বড় বাড়ন্ত
বুঝিনি আগে
বুঝিনি আগে।।
বুঝিনি আগে জীবনের গতি
ছুঁয়ে দেখিনি বসন্তের নদী।।
ব্যর্থ অতীত মিশে যাক
ব্যর্থ অতীত মিশে যাক
ধুসর গাঁজার ধোঁয়ায়,
দুঃখগুলো আহত হবে
একটি সুখের বর্ষায়।
স্বপ্নগুলো ছড়িয়ে আছে
এদিক সেদিক সারা গাঁয়,
ইচ্ছেগুলো ঝিমিয়ে রয়
তোমার আসার প্রতীক্ষায়।
আমি কেবল
স্বপ্ন দেখে গেলাম
নতুন জীবনের
নতুন জগতের।।
অথচ জীবনটা
ছিল বড় বাড়ন্ত
বুঝিনি আগে
বুঝিনি আগে।।
বুঝিনি আগে জীবনের গতি
ছুঁয়ে দেখিনি বসন্তের নদী।।
বৃষ্টি ঝরে যায়
বৃষ্টি ঝরে যায়
আমাদের মনের সীমানায়।
যেখানে সীমান্তরক্ষীদের
চলছে পাহারা।
রোদ্দুরে আমার ইচ্ছে জাগে
ক্যানভাসে নিজেকে হারাতে
আর তোমার চাওয়া শুধু
অন্যপথে চলা।
বৃষ্টি তোমাকে আপাতত বিদায় দিলাম
বৃষ্টি তোমাকে আপাতত বিদায় দিলাম।
ডিসেম্বর থেকে মার্চ শুধু রোদ্দুরের
এপ্রিলে হারাবো বৈশাখে।
পাখি হয়ে উড়ে যাবো আবার
ধানসিরি নদীর তীরে।
মায়ের কাছে ছুটে যাবো আবার
শৈশবের শত স্মৃতি নিয়ে।
বৃষ্টি তোমাকে আপাতত বিদায় দিলাম।
মৌনতা আর প্রশান্তি
মৌনতা আর প্রশান্তি
বন্ধু বনে যেতো।
নীরবতা তুমি শুধু আনন্দ-
সোনালু ফুলের মাঠে।
আকাশ তুমি ভালোবাসা
সূর্য তুমি চোখের আলো,
নিয়তি তুমি শেষ বিকেল
ঝরে পড়া পাতা।
মানিয়া
মানিয়া, আমি তোমার পোট্রেট আঁকবো না,
তোমার নরম সুন্দর মুখশ্রী
আমার হৃদয়ের ব্যথা হয়ে
ফিরে আসে একটা স্বপ্নে;
তুমি যেন অনেক আগের চেনা,
সেই একহাজার বছর আগের;
যখন এদেশে কোন বিদেশী আসেনি
আমি ঘুরে বেড়াতাম বাঁশি হাতে বৃন্দাবনেÑ
তুমি খোলা শরীরে চুল এলিয়ে
চাঁদ দেখতে…
ওসব ইতিহাস আর মনে আনতে চাই না
আমি তোমার পোট্রেট আঁকবো না।
মানিয়া তুমি এখন ক্লিওপেট্রা,
কেউ কিং সিজারÑকেউবা ক্রীতদাস;
আর আমি নির্জিব বেকার।
সবাই মেলে দিচ্ছে
স্ব স্ব ক্ষমতা, মৌনতা,
উজাড় করছে পৌরুষ;
আমি ইজেল নিয়ে বসে আছিÑ
দিনরাত,
আঁকছি তোমার সুন্দর ঠোঁটÑপ্রিয় চোখ
অস্পৃশ্য এক মুখ।
কার্টিজ পেপারে নয়Ñপেন্সিলে নয়
ন্ধদয় থেকে হৃদয়ে;
কী হবে? ছবি এঁকেÑ বাস্তবতাহীন- অর্থহীন
পোট্রেট এঁকে?
মানিয়া, আমি শিল্পী হতে চাই নাÑ
আমি প্রেমিক হতে চাই।
হাওয়া লতা
আমি হাওয়া লতা
লেন্দেনহীন এক মানুষ
লোকে বলে এ আমার
এক ধরণের অহংকার;
সামাজীক বন্ধন ছিন্ন করার
একধরণের প্রক্রিয়া;
জানো আমি কতটুকু সুখী
এই আবদ্ধ রুমে
ঐ আপরাইট পিয়ানোটা
আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দেয়Ñ
আমার পরম সত্তায়;
এই, এইযে হাত রাখলাম,
একটা মাইনর ইম্প্রোভাইজেশন,
তারপর আবার নতুন দিনের
নতুন শুরু
প্রতিধ্বনিত হোক বার বার
কেঁপে উঠুক আবদ্ধ ঘর;
আমার কান আমার দর্শক;
ষোড়শ শতাব্দীর অপেরার শ্রোতা;
চোখদুটো ক্রুসে বিদ্ধ যীশুর,
ঐশ্বরিক ইচ্ছের দুটো হাত,
অন্ধকারে লুকনো আলো
আমার বেঁচে থাকার উৎস;
জাগো প্রাণ, জাগাও উৎস
টিকে থাকো
ঐ পাথুরে দ্বীপের মতন।
শুধু স্বপ্ন
তোমার সাথে আমার দেখা হবে আবার
নতুন কোন শহরে
নতুন শতকে।
সূর্য যেমন উঠে পাহাড়ের চুড়ায়
এই কথাটি আমি বিশ্বাস করি সদাই।
শুধু স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখে যাই
জানি স্বপ্ন, স্বপ্ন ঘটে যায়।।
এই জনমে না হয় ঢাকার রাস্তায়
অন্য জনমে হয়তো নিউয়র্ক, মস্কোয়।
সীমাবিহীন পৃথিবীর পালের হাওয়ায়
এই কথাটি আমি বিশ্বাস করি সদাই।
শুধু স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখে যাই
জানি স্বপ্ন, স্বপ্ন ঘটে যায়।।
সময় বয়ে যায়
সময় বয়ে যায়
বয়ে যায়।
শুকিয়ে যায় প্রয়োজন।
নীরবতা, নিস্তব্ধতা নীরব কেন?
বাতাসও ঘুমিয়ে আছে কাঁচের মতন।
জীবনের মানিব্যাগ থেকে সময় ফুরিয়ে আসে।
সময় ফুরিয়ে আসে।।
সময়ের গান
মনে কর, একটা কিশোর
খেলার মাঠে ছুটতে ছুটতে
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে এসে
বারান্দায় ভাবছে বসে
কখন সময় শেষ হবে
কখন সময় শেষ হবে।
এরই মাঝে কেটে গেল
হাজার রাত্রি স্বপ্নের মতো
মনে হয় জীবনটা বুঝি এই
মনে হয় জীবনটা বুঝি এই।
সহজাত
ও আমি হইতাম যদি সহজাত।
হইলাম নারে এই জীবনে নিজেরই মতো।
ও আমি হইতাম যদি সহজাত।
মানব দোষে ঘৃণা করি মেঠো পথের ধুলো।
হইলাম নারে পূর্ণমানব
আমার সারাবেলা গেল
সারাজীবন গেল
আমি শহুরে ধুলো।
সোনা ঝরে, মুক্তা ঝরে
সোনা ঝরে, মুক্তা ঝরে
পথে ঘাটে সোনা ঝরে
পথে ঘাটে মুক্তা ঝরে
আমারে পাগল করে
আমারে উদাস করে
আমারই ভিতরে।
রাতবিরাইতে শ্বাসে শ্বাসে
আলোর খেলা চলে
আলোর মেলা চলে
তোরে কেমনে বোঝায় রে
আরে বোঝাতে গেলে আমার
ভাষা ফুরাইরে
আরে বোঝাতে গেলে আমার
শব্দ ফুরাইরে
আমি তাই নির্বাক থাকিরে
আমি তাই নির্বাক থাকিরে।
সত্যানুসন্ধানী মানুষ
কোথায় ছিলে?
কেমন ছিলে?
জীবনটা যে কেবল মরুময়
আমার সবুজ ঘাসের প্রান্ত
ছুঁয়ে গেছে তোমারই হৃদয়।
তোমারই হৃদয় আমার মাঝে
কেবলই ঘুরি ফিরি অন্য ডানা মেলে।
সত্যানুসন্ধানী মানুষের এমনই হয়।।
সারাজীবন
এই গানের মাঝে আমার জীবন
এই মোহের মাঝে আমারই মন
সারাজীবন এমন যেন যায়।
এই প্রাণের ধারে একটি নদী
এই গাঁয়ের ধারে অন্য শহর
সারাজীবন এমন যেন যায়।
এই ঘাসের সাথে সবুজ কথা
এই তোমার সাথে অন্য কথা
সারাজীবন এমন যেন যায়
শহর নদী সমান বয়ে যায়
সারাজীবন এমন যেন যায়।।
স্বপ্ন ভেঙে গেছে
স্বপ্ন ভেঙে গেছে
হৃদয়ের ছায়া ছেড়ে গেছে।
অমূল্য এই মনটা আমার
ভেঙে গেলে কি আর
ছোঁয়া যাবে?
তৃষনা ক্ষয়ে গেছে
নশ্বর দেহটাকে ছেড়ে গেছে।
অমূল্য এই মনটা আমার
ভেঙে গেলে কি আর
ছোঁয়া যাবে?
হৃদি
তোমার শরীর আমার মোহ,
মিহি গলার হাসি
মনে করিয়ে দেয়,
এক অবিনশ্বর নারী।
আমি কাতর দেহে
ফুটো করে দেখতে চেয়েছি তোমার হৃদয়,
সে হৃদয় আজ বড় নির্দয়;
তুমি মানুষ খোঁেজা,
গজ-ফিতে দিয়ে-
কাঁচের জানালায় মেপে নাও যার যার স্টেটাস;
হৃদি আমি উষ্ণ কুয়াশায় কাউকে খুঁজেছি
আমি পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতে চেয়েছি।।